Saturday, December 26, 2009

livetogather, relation & sex in 3psn

wats going on.. wat to do..!!?.. etai bastav.. avoid korar .. kharap vabe nebar kono upai nai!

Mosharrof karim, Tisha'r ki hoy, tara ek shathe keno? .. tader moddhe ashole relation-ta ki?

Tisha, Topu'r ki.. hoy? tader moddhe kisher relation?

Tisha'r shathe ashole kar relation.... ? kemon relation...!!?
livetogather.. relation.. sex.. & da complexity
tumi ki bolo bondhu..!?

3psn running @ chittagong, sylhet, dinajpur




@ chittagong..
sylhet..
dinajpur


.. bangali GOROM hou

3psn on FACEBOOK



http://www.facebook.com/video/video.php?v=208474403150&ref=mf

http://www.facebook.com/video/video.php?v=211530398150&ref=mf



facebook

topu>
http://www.facebook.com/album.php?aid=-3&id=1320232184#/profile.php?id=600650028&ref=ts

jonab kibria farooki>
http://www.facebook.com/profile.php?id=658183150&ref=mf

mostofa sarwar farooki>
http://www.facebook.com/album.php?aid=132139&id=719362548&ref=mf#/sarwar.farooki?ref=ts

follow-up: 3psn


চিত্র সমালোচনা
তৃতীয় ছবিতে সংহত ফারুকী
ফাহমিদুল হক তারিখ: ২৪-১২-২০০৯

তৃতীয় ছবি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এ ছবিতে মুন্না-রুবা-তপুর ট্রায়াঙ্গুলার অথচ সিঙ্গুলার রিলেশনের কাহিনি দর্শকের মনে গেঁথে যায় এর আধেয় ও আঙ্গিক উভয় বিবেচনাতেই। মোটের ওপর এটি আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির ছবি। ব্যাচেলর-এও আধুনিকতা ছিল, কিন্তু তা হাল ফ্যাশনময় এক উপরিতলে ঘুরপাক খায়। কিন্তু থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এর সিঙ্গুলার নারী রুবার মনস্তত্ত্বের গভীরে পরিচালকের প্রবেশ করার প্রচেষ্টা ছবিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
রুবার জীবনসঙ্গী (স্বামী নয়) মুন্না কী এক গোলমাল করে খুনের অভিযোগে জেলবন্দী। ছবি শুরু হয়েছে এর পরের ঘটনা থেকে। রুবা এর পর থেকে মোটামুটি ঘরছাড়া। তার মা সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে আগেই ঘর বেঁধেছেন। বাবা মারা গেছেন। মুন্না-রুবার বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠানকে সম্মান না করার সিদ্ধান্ত যেহেতু মুন্নার বাবা মেনে নিতে পারেননি, তাই জেলে যাওয়ার পরই রুবাকে শ্বশুরবাড়ি ছাড়তে হয়। একা একা ঘুরে শেষে পুলিশের হেফাজতে থানায় এক রাত কাটাতে হয়। পরে আশ্রয় নেয় খালাতো বোনের বাড়িতে। খালাতো বোনের ওখানে থেকেই সে চাকরি ও নতুন বাসা খুঁজতে থাকে।
এ পর্যায়ে দেখা যায়, তাকে অনেকেই বাসা বা আশ্রয় কিংবা চাকরি দিতে চায়, তবে একাকী মেয়ের বিপন্নতার সুযোগে কেবলই তাকে পাওয়ার আশায়। ছবির প্রথম অংশের বেশ খানিকটা সময় বিপন্ন রুবাকে দেখা যায়; সে সংগ্রাম করছে একা বেঁচে থাকার জন্য। এ পরিস্থিতিতে ডিকন নামের এক বড় ভাই তার অ্যাড ফার্মে রুবাকে চাকরি দেয়, সে অংশত অবলম্বন অর্জন করে। তার বিপদ প্রায় পুরোপুরি কেটে যায়, যখন সে তার বাল্যবন্ধু এবং বর্তমানে বিখ্যাত গায়ক তপুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। তপু প্রথম জীবনে রুবার প্রেমপ্রার্থী ছিল, কিন্তু রুবার অনাগ্রহে তা পূর্ণতা পায়নি। একালে গান গেয়ে বিখ্যাত তপুই রুবার সহায় হয়। তার জন্য অভিজাত এলাকা বসুন্ধরায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে। রুবার দ্বিতীয় লিভ টুগেদার শুরু হয় তপুর সঙ্গে। প্রথম দিকে একই বাসায় দুই রুমে থাকতে থাকতে দুজনই চঞ্চল হয়ে ওঠে। তপু নানা অছিলায় রুবার রুমে টোকা দেয়। রুবাও দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু তার আরেকটি ‘সত্তা,’ ১৩ বছর বয়সী রুবা এসে তাকে বাধা দেয়। তার নৈতিকতা-বিবেক ধরে টান দেয়। ছবির বাকি কাহিনি আগেভাগেই আর বলতে চাই না।
শুরুতেই বলেছি, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির ছবি। অর্থাত্ নগরায়ণ ও আধুনিকতার প্রভাবে প্রথাগত অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিই নতুন প্রজন্মের মানুষের আস্থা কমতে থাকে, বিয়ে যেমন একটি প্রতিষ্ঠান। নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন আসে। তবে যতই আধুনিকতা আসুক, নারীর ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা যতই বাড়ুক, নারী ও তার শরীর সনাতন ও আধুনিক সব সমাজেই যে লাঞ্চনার শিকার—এই ছবির মূল বক্তব্য এটাই। কিন্তু এসবের মধ্য দিয়েই দৃঢ়চেতা নারীরা এগিয়ে যায়, রুবা যেমন। আর দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন যে অনেক নতুন সংকটের জন্ম দেয়, ছবিতে তাও এড়িয়ে যাওয়া হয়নি। তবে পশ্চিমের তুলনায় সংকটের ধরনে পার্থক্য আছে। নগরায়ণ, আধুনিকতা, বিশ্বায়নের চাপে বাংলাদেশের প্রধান নগর ঢাকায় সনাতন সংস্কৃতি পুরোপুরি উঠে যায়নি, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা অতটা প্রকট হয়নি। তাই বিবাহ নিবন্ধন না করেও মুন্না ঠিকই বসবাসের জন্য রুবাকে নিয়ে বাবার সামনে গেছে সম্মতির জন্য এবং দুজন ওই বাসায় বসবাসের অনুমতির জন্য। মা পুরোনো প্রেমিকের বাসায় চলে যাওয়ায় রুবার যে ঘৃণা, তাও সনাতনী সংস্কৃতিবাহিত মূল্যবোধের কারণেই।
এ ছবিতে প্রত্যাবর্তন টেলিছবির ফারুকীকে খুঁজে পাওয়া গেল। অর্থাত্ ‘ক্লাসিক্যাল ন্যারেটিভ’ ধারায় গল্প বলার পরিবর্তে চলচ্চিত্রভাষার আশ্রয়ে নিরীক্ষার প্রয়াস লক্ষণীয় এখানে। কাল ও পরিসরকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে চালচ্চিত্রিক সুবিধা নেওয়ার উদ্যোগ স্পষ্ট এ ছবিতে। কার্যকরভাবে ফ্ল্যাশব্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু কিছু স্বপ্নদৃশ্যের মাধ্যমে একটা পরাবাস্তব আবহও তৈরি করা হয়েছে। রুবার মনস্তত্ত্বের গভীরে যাওয়ার জন্য এক রুবাকে ভেঙে তার তিনটি সত্তা তৈরি করা হয়েছে—শিশু রুবা, কিশোরী রুবা ও বর্তমানের রুবা। বিশেষত কিশোরী রুবা বর্তমানের রুবার সঙ্গে প্রায়ই তর্ক করে, তার দৃষ্টিতে বর্তমানের রুবার যেকোনো ‘অনৈতিক’ কাজে বাধা দেয়। আর তাদের তর্কের মাঝখানে শিশু রুবা মন খারাপ করে, কাঁদে। তবে পরাবাস্তব আবহ সবচেয়ে মনোগ্রাহী হয়েছে মায়ের মৃত্যুর পর একটি স্বপ্নদৃশ্য—সবুজ এক বিস্তৃত চত্বরে একটা খাট, খাটে রুবা শুয়ে। সে খাট থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে একটি বড় দিঘির পাশে যায়। দিঘির ওপারে মায়ের আবছা বসে থাকা। মায়ের পেছনে আরও বিস্তৃত প্রান্তর, কিন্তু কুয়াশারহস্যে তার অস্তিত্ব অদৃশ্যমান। লং শটে সবুজ চত্বর-রুবা-দিঘি-মা-কুয়াশারহস্য...একটা পেইন্টিংয়ের গভীরতা ফ্রেমজুড়ে।
দর্শকের মনে রুবার যন্ত্রণার অনুভূতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দু-একটা উদ্যোগ অবশ্য অকারণ মনে হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পরপরই রুবাকে পঞ্চম বা ষষ্ঠ তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখা যায়। রুবা সিঁড়ি বেয়ে নামছে, ৩৬০ ডিগ্রিতে ক্যামেরা চক্রাকারে মুভ করে—শটটা ভালোভাবেই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই লং টেকের সঙ্গে আগের ও পরের দৃশ্যের কোনো সংস্রব নেই। বিপর্যস্ত চরিত্রের বেহাল দশা দেখাতে সিঁড়ির ব্যবহার একটা অতি পুরোনো আর্ট ফিল্মীয় কায়দা। বিশেষত অত উঁচুতে রুবা কেন উঠল, তার অফিস ওই তলায় কি না—এ রকম কোনো তথ্যই এর আগে বা পরে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে মুন্নার জেল হওয়ার প্রকৃত কারণ কী, তা স্পষ্ট করে বলার ক্ষেত্রে চিত্রনাট্যকার আনিসুল হক ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অনীহ থাকতে দেখা গেছে। কী কী কারণে তার জেলবাস এতটা সংক্ষিপ্ত হয়ে গেল, তাও পরিষ্কার করা হয়নি।
ছবিতে ক্যামেরা চালিয়েছেন সুব্রত রিপন। তিনি ক্লোজ শটগুলো ভালো তুলেছেন। আর লো অ্যাঙ্গেল শটের প্রতি যে তাঁর পক্ষপাত রয়েছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। তবে লিমনের আবহ সংগীত সুপ্রযোজ্য মনে হয়নি সব স্থানে। ফারুকীকে অভিনন্দন একটি সফল প্রকল্প পরিসমাপ্তির জন্য।

Thursday, December 10, 2009

3psn - in memory of Subroto Ripon. U r always here


3psn -in memory of Subroto Ripon.. u r always here!




আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পা চ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী'র "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার"।





trailor
-
1. http://www.youtube.com/watch?v=8waNnuCa7ho
2. http://www.youtube.com/watch?v=Q5N2ZuEppf0
3. http://www.youtube.com/watch?v=8waNnuCa7ho&feature=related

ভালো ছবি দেখার জন্য বিনোদনপ্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ছবিটি ভালো লাগলে অন্যদের





বলতে ভুল করবেন না


music: Habib Wahid, Fuad Al Muktadir, Tahsan, Sumi, Leemon
vocals:
Didha -Habib, Nancy featuring Habib
jailkhanar chithi -music composed, tune, vocal Leemon
ogochore -Tahsan, mithila featuring Tahsan
ekta din beshi -Tapu, Anila featuring Fuad
pora Bashi -sumi featuring Leemon

backgeound score: Leemon

ost- didha
http://www.youtube.com/watch?v=E2L1eXbo760














"থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পাবে



আগামীকাল শুক্রবার মুক্তি পা
চ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী'র "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার"

মেয়েটির
নাম রুবা।
একটি মেয়ে সমাজে একা চলতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ে। সমাজের মানুষগুলো মেয়েটিকে কী চেখে দেখে, তার সামাজিক অবস্থানটা কোথায় থাকে? রুবা জীবনে আসে ভালোবাসা। কিন্তু ভালোবাসার মানুষ মুন্না খুনের দায়ে জেলে অন্তরিণ হয়। তখনই মেয়েটির জীবনে নেমে আসে আরেক দফা বিপর্যয়। প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে মেয়েটি বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করে।
দ্বিতীয় ধাপে দেখা যায়, মুন্না ফিরে আসে রুবা কাছে। কিন্তু ততক্ষণে যেন সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। মুন্না মনে সন্দেহ হয় রুবাকে নিয়ে। এবার রুবা মনঃকষ্টে পুড়তে থাকে। শুরু হয় আরেক দফা যুদ্ধ। সে তাহলে এখন কী করবে?

রুবা মুন্না মধ্যে সম্পর্কটা কী?
ছবিটি আগামীকাল মুক্তি পেলেও ছবির গান কিন্তু অনেক আগেই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে।

অভিন
য়ে: তপু, মোশাররফ করিম তিশা

থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, তিশা + মোশাররফ করিম, Prothom Alo

Prothom Alo

ভেতর বাহিরের কথা

কামরুজ্জামান

তিশা ও মোশাররফ করিম ঘন কুয়াশা, দু-একটা গাড়ি হেডলাইটের আলো জ্বালিয়ে আর বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে ছুটে যাচ্ছে।
লোকজনের আনাগোনা খুবই কম। কয়েকজন টোকাই আগুন জ্বালিয়ে শীতের প্রকোপ দূর করার চেষ্টা করছে।
৬ ডিসেম্বর সকাল আটটায় চারুকলার সামনের দৃশ্যটা ছিল এমনই। এরই মধ্যে এলেন তিশা ও মোশাররফ করিম। যাঁরা সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করতে আসেন, তাঁদের কেউ কেউ দুজনকে একসঙ্গে দেখে থমকে দাঁড়াচ্ছেন। পরখ করে নিচ্ছেন, আসলে এঁরা মোশাররফ করিম ও তিশা কি না?
দুজনকে ঘিরে ছোটখাটো একটা জটলা হচ্ছে। আবার জটলা কেটেও যাচ্ছে। ব্যাপারটা অবশ্য দুজনই বেশ উপভোগ করছেন।
আলোকচিত্রী খালেদ সরকারের ক্যামেরায় দুজনই তখন ব্যস্ত ছবি তোলায়। তবে ছবি তোলার আগে তিশা থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এর টিশার্ট পরে নিলেন। মোশাররফও একই ধরনের টিশার্ট পরে নিলেন। আগামীকাল শুক্রবার তাঁদের দুজনের অভিনীত এ ছবিটি মুক্তি পাবে। তাই তাঁরা এখন এ ছবির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত।
ছবি তুলতে গিয়েও কিছুটা বিপত্তি। আলো নেই। কুয়াশার চাদরে বারবার ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন তিশা ও মোশাররফ।
এভাবেই কেটে গেল আধা ঘণ্টা। দুজনই বসলেন। শোনালেন তাঁদের কিছু কথা, কিছু গল্প। এর পুরোটাই ছিল থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার।
ছবিটি আগামীকাল মুক্তি পেলেও এ ছবির গান কিন্তু অনেক আগেই শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। কথা হলো গান নিয়ে।
মোশাররফ বললেন, ‘অসাধারণ গান। ছবিতে পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী গল্পের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী গানটি এত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যে, দর্শকেরা খুবই রোমাঞ্চিত হবেন। সত্যি বলতে কি, এক একটি দিন যাচ্ছে, আর নিজের মধ্যে অস্থিরতা যেন আরও বাড়ছে। মনে হচ্ছে, কবে ছবিটি মুক্তি পাবে আর বুকের ভেতর আটকে রাখা নিঃশ্বাসটা কখন ছাড়ব এবং স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেব। কারণ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু স্বপ্ন থাকে, সেই স্বপ্ন অনেক দিন লালন করার পর যখন বাস্তবায়িত হয়, তখন তার মধ্যে যে আনন্দ হয়, তা অপরিসীম। এটাকে আসলে বোঝানো যায় না, শুধুই উপলব্ধি করা যায়। ঠিক এ ছবিটি নিয়ে আমার মধ্যেও এসব ক্রিয়া কাজ করছে।’
তিশা বললেন, ‘গান তো মানুষ পছন্দ করেছেই। নিশ্চিত করে বলতে পারি, একটি ভালো ছবি, বিনোদনে ভরপুর ছবি মানুষ দেখবে অনেক আনন্দ নিয়ে। আর এটি আমার প্রথম ছবি। আমার মনে আছে, চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনেক দিন থেকেই আমাকে অনেকেই বলেছেন। আমি অপেক্ষায় ছিলাম, কবে একটা ভালো চরিত্র পাব, যেখানে আমি তিশা একটু অন্যভাবে আসতে পারব। সেই সুযোগটি হয়েছে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার ছবি দিয়ে। আমি খুবই খুশি যে, এত দিন যে ছবির জন্য কষ্ট করেছি, সেই ছবিটি এবার মুক্তি পেতে যাচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে, আমি সাধারণত যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করি, এ ছবি করার আগে দুই মাস অনুশীলন করে সেসব পাল্টালাম। কিন্তু এ ছবির শুটিংয়ের পর যখন আবার নাটকের কাজ করতে গেলাম, তখন আরেক ধরনের সমস্যা হলো। যেখানেই কাজ করতে যাই, সেখানেই থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার-এ যে অঙ্গভঙ্গি করেছি, তা-ই ঘুরেফিরে আসতে শুরু করল।’
মোশাররফ আগেভাগেই তাঁর অন্য পরিচালকদের বলেছিলেন, তিনি তাঁর গেটআপে পরিবর্তন আনতে চুল ছোট করে ফেলেন। তাই সেভাবেই সবকিছু মাথায় রেখে নাটকের পরিচালকেরা কাজ করেছেন। ‘কিছুই করার ছিল না। কারণ ওই যে বললাম, একটা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই আমি কিছুটা ত্যাগ স্বীকার করার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। এখন যদি সেই ছবিটি সবার কাছে ভালো লাগে, তবেই খুশি হব।’ বলছিলেন মোশাররফ।
এবার ছবি প্রসঙ্গে আসা যাক। ছবিটিতে আছে দুটি গল্প। প্রথমত একটি মেয়ে সমাজে একা একা চলাফেরা করতে গিয়ে ঠিক কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ে। সমাজের মানুষগুলোই বা মেয়েটিকে কী চেখে দেখে? তার সামাজিক অবস্থানটা কোথায় থাকে। মেয়েটির জীবনে একসময় আসে ভালোবাসা। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটি খুনের দায়ে জেলে অন্তরিণ হয়। তখনই মেয়েটির জীবনে নেমে আসে আরেক দফা বিপর্যয়। প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে মেয়েটি বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করে।
দ্বিতীয় ধাপে দেখা যায়, ভালোবাসার মানুষটি ফিরে আসে মেয়েটির কাছে। কিন্তু ততক্ষণে যেন সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। ছেলেটির মনে সন্দেহ হয় মেয়েটিকে নিয়ে। এবার মেয়েটি মনঃকষ্টে পুড়তে থাকে। শুরু হয় আরেক দফা যুদ্ধ। সে তাহলে এখন কী করবে?
আনিসুল হকের রচনায় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এমনই একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ করেছেন থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার।
মেয়েটির নাম রুবা। ছেলেটির নাম মুন্না। তাদের সম্পর্কটা কী? কেউ মনে করতে পারেন, তারা স্বামী-স্ত্রী, কেউ বা মনে করতে পারেন, তারা প্রেমিক-প্রেমিকা। রুবা চরিত্রে রূপদানকারী তিশা বলেন, ‘আসলে এটা দর্শকেরাই খুঁজে নেবেন যে, মুন্নার সঙ্গে আমার কী সম্পর্ক। তবে আমরা একটা চমক রেখেই কাজটা করেছি।’
মুন্না চরিত্রে কাজ করেছেন মোশাররফ। বললেন ছবির শুটিং করার একটি ছোট্ট গল্প। ফারুকী ভাই আমাকে একটি দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দিলেন। বললেন, ‘তোমার সামনে তিশা থাকবে না। থাকবে একটি পুতুল। তুমি মনে করবে, ওই পুতুলটি হচ্ছে তোমার তিশা। তুমি পুতুলকে তিশা মনে করে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে।’ সত্যি বলতে কি, এমন পরিস্থিতির শিকার আমি এর আগে কখনো হইনি। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না যে, একটি পুতুলকে জড়িয়ে ধরে আবার একজন মানুষ কাঁদে কীভাবে?
যা হোক, লাইট, ক্যামেরা সবই প্রস্তুত। কান্না আর আসে না। জোর করে কাঁদতে গেলেও আবার লাইটম্যানরাই হেসে দেন। কী যে এক বিড়ম্বনায় পড়লাম। একবার খুব বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। পুতুলটাকে জড়িয়ে কেঁদেও দিয়েছি। এ সময় ক্যামেরাম্যান বললেন, ‘দুঃখিত, রানআউট হয়ে গেছে। অর্থাত্ নেগেটিভ নতুন করে ক্যামেরায় ভরতে হবে। এভাবে একটি দৃশ্যের জন্য না হলেও কম করে হলেও ১৫—২০ বার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়েছে। একটা পুতুল ধরে এতবার কাঁদতে হয়েছে যে, পুতুলটাকে দেখলেই পরে আমার ভয় লাগত।’
তিশারও রয়েছে শুটিংয়ের নানা রকম অভিজ্ঞতা। ‘শুটিং শুরু হলো। শিল্পী হিসেবে ছিলেন তপু। কাশবনে আমাদের শুটিং। আমাদের দৃশ্যটি এমন ছিল যে, আমি আর তপু কাশবনের মধ্যে হাত ধরে হাঁটাহাঁটি করছি। এই একটি দৃশ্যে কাজ করতে আমাদের সময় লেগেছে পাক্কা দুই দিন। কারণ হচ্ছে, প্রথমত পরিচালক যেভাবে চাচ্ছিলেন, আমরা সম্ভবত সেভাবে কাজটা করতে পারছিলাম না। আবার যেভাবে আমরা কাজটা করতে পারছিলাম, সেভাবে আর ক্যামেরা কাজ করছিল না। একপর্যায়ে তিনটি ক্যামেরা পরিবর্তন করা হলো। এ রকম ঝামেলার জন্যই একটি দৃশ্যের কাজ করতে টানা দুই দিন লেগেছিল আমাদের।’ বললেন তিশা।
তিশার প্রথম ছবি হলেও মোশাররফ এর আগে জয়যাত্রা, দারুচিনির দ্বীপ চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এখন কি তাঁরা নিয়মিত কাজ করবেন?
মোশাররফ জানালেন, বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব মাঝেমধ্যেই তাঁর কাছে আসে। কিন্তু ডর লাগে; যদি আবার না হয়। হাসতে হাসতে বললেন তিনি। ‘তবে আমি কাজ করব। এফডিসিকেন্দ্রিক ছবিও করব। তবে চরিত্রটা হতে হবে একটু অন্য রকম। ব্যাটে-বলে মিলে গেলেই করব। এর বাইরে আমি প্যারালাল ছবি যেগুলো হয় সেগুলো তো করবই।’ বললেন তিনি।
তিশা অবশ্য নিজেকে বাণিজ্যিক ছবিতে পুরোপুরি উপযোগী মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি হয়তো বেশি ছবি করব না। খুব বেশি হলে সাত থেকে আটটি ছবিতে কাজ করব। সেই ছবিগুলো স্মরণীয় ছবি হয়ে থাকবে। তাই আমি এমন গল্পের ছবি করব, যেগুলো আমাকে একটু অন্যভাবে তুলে আনবে। যেমন একটি হচ্ছে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার।’
কুয়াশা অনেকটাই কেটে গেছে। মানুষজনের আনাগোনা বাড়ছে। মোশাররফের মুঠোফোন কল আসতে শুরু করেছে। তিশাকেও উঠতে হবে। দুজনই বললেন, ‘একটি ভালো ছবি দেখার জন্য বিনোদনপ্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ছবিটি ভালো লাগলে অন্যদের বলতে ভুল করবেন না—প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ...।’

Tuesday, October 27, 2009

HOT CELEBRETY SECRET


audio realese of "3rd person singular number"




keram 2nd part, comilla




"amare du'dondo shanti diyechilo.."





shooting at 1st date set



autograph..(ki likhi..)



riharsale: shooting frm "keram 2nd part"




kothao amar hariye jabar nei mana.. ghume ghume...



eikhane darao.. eivabe.. eivabe takao.. thikase!?



aaj ami shukhi..

sun koi.. sun ase..




ei emne chai emne.. eita thik eita chai.. borabor...



ohh! ummah..



"ainate oi mukh dekhbe jokhon...."



kisu jai kisu jainaa..



ki jani holo.. amr ki holo..




chomotkaar!!



asi shukhe.. iccha kore theke jai.. eikhane.. "" tomra jekhane shadh chole jao.. ami roye jabo ei banglai..




ekta jomi kine bari korbo.."iccha kore porandare gamsa diya baandhiiiiiiiiiii!!!!!!!!!"



set of un-manush



ji je.. rj tini



maap thikase to babuaa..


বুধবার | ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১৫ আশি্বন ১৪১৬ | ১০ শাওয়াল ১৪৩০
সার্চ
আর্কাইভ
দিন :
মাস :
সাল :
আনন্দ প্রতিদিন
আনন্দ প্রতিদিন -এর আর্কাইভ
পুসান চলচ্চিত্র উৎসবে থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার
0.68%
গড় রেটিং:
রেটিং :
Bookmark and Share
আনন্দ প্রতিদিন প্রতিবেদক
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুসান চলচ্চিত্র উৎসবে। এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং সমালোচকদের দৃষ্টিতে বিশ্বের প্রথম সারির চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয় পুসান চলচ্চিত্র উৎসব। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্র পুসান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ছবিটি দেখানো হবে উইনডোজ অন এশিয়ান সিনেমা সেকশনে। এ বিভাগের অফিসিয়াল সিলেকশন লিস্টের ভূমিকায় বলা হয়েছে, 'ছবিটি বাংলাদেশের প্রচলিত সব ধরনের সিনেমার ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন পদছাপ রেখেছে এবং একই সঙ্গে অনেক নতুন প্রত্যাশারও জন্ম দিয়েছে।' ছবিটি উৎসবে প্রদর্শন হবে আগামী ১০ ও ১৩ অক্টোবর। ১৩ অক্টোবর শো শেষে দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন ছবিটির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, আরও বেশকিছু সম্মানজনক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ছবিটির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। ছবিটি মুক্তির বিষয়ে পরিচালক জানান, আগামী কোরবানির ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা চলছে।



বৃহস্পতিবার | ঢাকা ১ অক্টোবর ২০০৯ | ১৬ আশি্বন ১৪১৬ | ১১ শাওয়াল ১৪৩০
সার্চ
আর্কাইভ
দিন :
মাস :
সাল :
নন্দন
নন্দন -এর আর্কাইভ
'আমি সবসময় কাজের এরিয়া পরিবর্তন করেছি'
0.69%
গড় রেটিং:
রেটিং :
Bookmark and Share
এবার ঈদে প্রচারিত মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিছবি 'মা-য়া' প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার নতুন চলচ্চিত্র 'থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার'। এবারের নন্দন আড্ডার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সূত্রধর গোলাম রাব্বানী
আপনি তো প্রতি বছর ঘুমিয়ে ঈদ কাটান। এবার কি ব্যতিক্রম ছিল?
না। ঈদের আগের দিন সারারাত আমার 'মা-য়া' নাটকের সম্পাদনার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ভোর ৪টায় ঘরে ফিরি। তারপর ঘুম। ঘুম থেকে উঠি বিকেলে। এভাবেই আমার ঈদের দিন শুরু। কয়েকজন প্রিয় মানুষের ঘরে গিয়েছিলাম বেড়াতে।
'মা-য়া' আপনার চেনা ঢঙের কাজের বাইরের নাটক। এটি কি ইচ্ছে করেই করা?
আমি আগে যা করেছি, এখন আর তা করতে চাই না। প্রতিনিয়ত আমার কাজের এরিয়া পরিবর্তন করেছি। ২০০০ সালে যা করেছি, ২০০৩ সালে কখনওই তা করিনি। ২০০৩ সালে যা করেছি ২০০৯ সালে এসে তা করছি না। এখন যা করছি ২০১১ সালে তা করব না। এ ক্ষেত্রে আমি দর্শকদের একটা বড় ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা কখনওই আমাকে একই কাজের বৃত্তে আটকে রাখতে চাননি। আমি যতবার নতুন রাস্তায় এসেছি, তারা সানন্দে সেটি গ্রহণ করেছেন। '৫১বর্তী', '৬৯'-এর পর '৪২০' একদমই ভিন্ন কাজ। তারা অখুশি না হয়ে বরং খুশিই হয়েছেন। আমার স্থির বিশ্বাস তারা আমার কাছ থেকে একই কাজ বারবার চান না।
একটা সময় পর্যন্ত দর্শক আপনার নাটকে মজা খুঁজত। এখন কি খোঁজে বলে মনে হয়?
আমার দর্শক আমার কাছে শুধু মজাই খোঁজে না; তারা আমার কাছে কষ্ট, বিরহ, টানাপড়েনের গল্পও দেখতে চায়। 'মা-য়া' প্রচারের পর আমার মুঠোফোনে প্রায় তিনশ' এসএমএস এসেছে। প্রত্যেকেই সাধুবাদ জানিয়েছে।
এ ঈদে কোন কোন নাটক-টেলিছবি ভালো লেগেছে?
সত্যি কথা বললে নুরুল আলম আতিকের 'এ জার্নি বাই বোট', অমিতাভ রেজার 'ইজ ইকুয়াল টু', মেজবাউর রহমান সুমনের 'তারপরেও আঙ্গুরলতা নন্দকে ভালোবাসে'। এছাড়া ইফতেখার আহমেদ ফাহমি তার 'অসুখ'-এ নতুন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে আপনি সিরিয়াসধর্মী গল্পের নাটক নির্মাণ করছেন। এর কারণ কী?
আমি সবসময় সিরিয়াস, নন-সিরিয়াস নানা ঘরানায় কাজ করেছি। ১৯৯৯ সালে 'প্রত্যাবর্তন' যেমন করেছি, ২০০০ সালে 'কানামাছি'ও তেমন করেছি। আমি আসলে কিছুদিন পরপর নতুন নতুন পথ ধরতে চাই। তা না হলে ক্লান্ত লাগে। একই পথে বারবার যেতে ভালো লাগে না।
দেশ টিভিতে প্রচারিত আপনার ছবিয়াল সন্ধ্যায় এখন পুরনো নাটকগুলো পুনঃপ্রচার করা হচ্ছে। ছবিয়াল সন্ধ্যা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?
এটি চালানোর জন্য যে পরিমাণ সময়, অর্থ আর উদ্যোগ প্রয়োজন_ এ তিনের সমন্বয় ঘটাতে পারছি না।
এবারের ঈদ অনুষ্ঠান নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
চ্যানেলগুলোর ঈদ আয়োজনের সবই কম-বেশি ভালো লেগেছে। একমাত্র বিজ্ঞাপন বিরতি ছাড়া সবই ভালো।
আমাদের দেশে এখন যে ধরনের টিভি নাটক নির্মাণ হচ্ছে তা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
অনেক নবীন ও প্রতিভাবান নির্মাতা এসেছেন, যারা